বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত করানোর অভিযোগে করা মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেদী আল মেরাজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মেহেদী আল মেরাজ সোনালী ব্যাংক ভোলা চরফ্যাশন শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বরিশাল নগরীর ২৮নং ওয়ার্ড কাশিপুর চহুতপুর ব্যারিস্টার বাড়ির মোসলে উদ্দিনের ছেলে।
বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কাশিপুর চহুতপুর এলাকার মেহেদী আল মেরাজের বাসায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেন অভিযোগকারী প্রবাসী। স্বামী বিদেশ থাকার সুবাদে মেরাজ বিভিন্ন সময় তার ভাড়াটিয়াকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ‘কু-প্রস্তাব’ দেন। ঘটনার দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রবাসীর স্ত্রী মেহেদী আল মেরাজের বাসায় ভাড়াটিয়া বাসার অগ্রিম টাকা দিতে যান। এ সময় মেহেদী আল মেরাজ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত বছরের জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মিরাজ প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে ভুক্তভোগী বিষয়টি মেরাজকে জানান। একই সঙ্গে বিয়ের জন্যও চাপ দেন।
মেহেদী আল মেরাজ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ওষুধ খাইয়ে দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। পরে মিরাজ ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।
এ ঘটনায় ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর এয়ারপোর্ট থানায় ধর্ষণের শিকার ওই প্রবাসীর স্ত্রী মামলা দায়ের করেন। মামলা পর মেহেদী আল মেরাজ জামিন নেন।
২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ব্যাংক কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্যের দিন প্রবাসীর স্ত্রী ট্রাইব্যুনালে মেহেদী আল মেরাজের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Leave a Reply